মামুনুল হকের হুঁশিয়ারি: দমন-পীড়ন চললে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবে খেলাফত মজলিস
 |
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইসলাম ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৩০০ আসনেই রিকশা প্রতীকে নির্বাচন করতে প্রস্তুত। তবে বৃহত্তর জোট বা নির্বাচনী সমঝোতার মাধ্যমে দেশের স্বার্থ অধিকতর রক্ষা হলে সেদিকেও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক। আজ রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, "১৫ বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যতম। আমাদের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী ছিলেন। ফ্যাসিবাদী রেজিমের প্রধান শেখ হাসিনা আমাদের সংগঠন ও নেতৃত্বকে সরাসরি টার্গেট করেছিলেন।"
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়ে খেলাফতের এই নেতা বলেন, "রাজপথে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক ঐক্যকে নস্যাৎ করা যাবে না। বর্তমানে যে রাজনৈতিক সমন্বয়ের ধারা চলছে, যেখানে কেউ কাউকে উৎখাত করছে না, দমন করছে না, এটা যেন বজায় থাকে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে ফিরে গিয়ে দমন-উৎখাতের রাজনীতি করে, তাহলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।"
নির্বাচনী কাঠামো প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, "বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনী কাঠামোর যেসব বিষয় এখনো অমীমাংসিত, তা দ্রুত জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে। সংসদের দ্বিকক্ষীয় কাঠামোর বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।"
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাওলানা আকরাম আলী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আলী উসমান, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরিফ সাইদুর রহমান প্রমুখ।